Posts

ডিকন্সট্রাক্টিং অ্যান্টিপর্নো

Image
ঘন হলুদের মধ্যে চেরি ব্লসম লাইট ট্রি এর ব্যাকগ্রাউন্ড, সামনে নৃত্যরত কিয়োকো (তোমিতে আমি) এই ওপেনিং সিন দিয়ে শুরু সিওন সোনোর লিখিত ও পরিচালিত 'এন্টিপর্নো' । মূলতঃ জাপানি পিঙ্ক ফিল্ম/ সফ্‌টকোর পর্নোর একটি ধারা 'রমোঁ পর্নো' এর অগ্রদূত স্টুডিও নিক্কাৎসুর নতুন উদ্যোগ সেই সত্তর-আশি দশকে দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ানো ধারাটার এক্সপেরিমেন্টাল রিবুট বড় পর্দায় আনা, তার অংশ হিসেবে নিক্কাৎসুর ব্যানারে মুক্তি পেয়েছে 'ওয়েট ওম্যান ইন দি উইন্ড' , 'অ্যারাউসড বাই জিম্নোপেডিস' এর মত সিনেমা, আর সাথে সোনোর অবদান। সোনো, যিনি স্বঘোষিত প্রথাবিরোধী, নিজেকে এন্টি-ওজু (জাপানি পরিচালক ওজু ইয়াসুজিরো) দাবি করেছেন, 'সুইসাইড সার্কল' এর মত সিনেমা তৈরি করেছেন জাপানিদের কাছ থেকে ঘৃণা কুড়ানোর উদ্দেশ্যে, তার কাছে থেকে এটাই আশা করা যায় যে রমোঁ পর্নোর পথে নেমে ভিন্ন কিছু উন্মোচিত করবে এই সোয়া এক ঘন্টার সিনেমাটি। তার আগে কিছুটা ব্যাকড্রপ। নৃত্য- ও চিত্র-শিল্পী কিয়োকোর নির্জন ফ্ল্যাটে তাকে দেখা যায় নিজের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে, ধীরে ধীরে এই ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ে তার অ্যাসিস্টেন্ট...

দি কিলিং অফ আ সেইক্রেড ডিয়ার (২০১৭)

Image
লান্থিমোস মানেই সিম্বোলিজম, কাহিনীর অন্তরালের কাহিনী...আর এক্সপেক্টেশনের পরাজয়। তাই 'দি কিলিং অফ দি সেইক্রেড ডিয়ার'  এর শুরুটায় যখন দেখা যায় লং টেক-এ একটা জীবন্ত হৃদপিন্ড, ব্যাকগ্রাউন্ডে শুবার্টের সাবাট মেটার ডি৩৮৩ - 'জিসাস ক্রাইস্ট হ্যাংস অন আ ক্রস': প্রায়... ধর্মীয় আবেগঘন, 'সেইক্রেড' এক পরিবেশ, যাকে 'শকার' দিয়ে দুমরে মুচড়ে দিয়েছেন ডিরেক্টর, তখনই কিছুটা আঁচ করা যায় কাহিনীর গভীরতা। শুরু হয় অন্ধকার, অন্ধকার এক থ্রিলার।      ডিরেক্টরের একটা জিনিস খুব চোখে পড়ে, জাম্পকাটের মধ্য দিয়ে নতুন এমন এক তথ্য দেওয়া যার মধ্যে দিয়ে সেই জগতটার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। তবে সত্যি বলতে তার আগের কাজগুলোর স্থান প্রায় 'সারিয়েল' এক জগতে, যার সম্পর্কে কিছুই জানা নেই বললেই চলে। তাই সেগুলো আমাদের যেমন চমকে দেয়, তেমনি সেই বাস্তবতা নিয়ে আমাদের জ্ঞানে একটা নতুন মাত্রা যোগ করে। পক্ষান্তরে, 'সেইক্রেড ডিয়ার' এর অবস্থান আমাদের এই পৃথিবীতেই, এই বাস্তব ডাইমেনশনে। সেই দিক থেকে তিনি বেশ ছাড় পেয়েছেন, এবং এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি, সহলেখক ফিলিপো ও তার সবসময়ের...

The Butterfly Effect (2004)

Image
'বাটারফ্লাই ইফেক্ট' ফেনোমেনোনটার সাথে পরিচিত নয়, এরকম মানুষ আমি দেখিনি বললেই চলে - সিনেমার শুরুতেই কেওস থিওরির এই টপিকটার সাথে একটা পরিচিতি করিয়ে দেওয়া হয়; সোজা ভাষায় বলতে গেলে, ছোট ছোট বিষয়গুলো কিভাবে বড় একটা ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, এটি 'বাটারফ্লাই ইফেক্ট' এর মূল বক্তব্য। যদি এই ব্যাকগ্রাউন্ডটি দিয়ে একটা সাই-ফাই ঘটনা বা সিনেমা দাঁড় করানো যায়  - জটিল একটা ব্যাপার, চিন্তা করাই যায়! তবে সিনেমাটিকে মেইন্সট্রিম ধাঁচের সিনেমা বললেই ভালো হবে - ক্রিটিকদের দুই চোখের বিষ, দর্শকদের কাছে সফল। সিরিয়াস সিনেফাইলদের কাছে '৪০ মিনিটের পর ডিএনএফ'। পার্সোনালি, আমার কাছে সিনেমাটিকে বেশ ইন্টেরেস্টিং-ই মনে হয়েছে প্রথম দেখার ক্ষেত্রে। মূলতঃ শিশু ইভানের জীবনে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যায়, যার মোক্ষম মূহূর্তে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং তখনকার ঘটনা সে কিছুতেই মনে করতে পারেনা। পরবর্তী জীবনে সে যখন এই ঘটনাগুলোর রহস্য উদ্ঘাটন করতে যায়, তখন এর ফলাফল হিসেবে নেমে আসে দুর্যোগ। একসময়ে সে আবিষ্কার করতে পারে যে তার ক্ষমতা আছে অতীতে ফিরে যাবার, এবং এভাবে সে অনেকগুলো জটিলতাকে সমাধান করার চেষ্টা করে - ক...