Posts

Showing posts from October, 2017

Closer (2004)

Image
প্যাট্রিক মার্বারের পুরষ্কারপ্রাপ্ত ব্রডওয়ে থিয়েটার নাটক থেকে বড়পর্দার অ্যাডাপশন, ডিরেক্টর মাইক নিকোলসের "ক্লোজার"। মরিসির সাউন্ডট্র্যাকে প্রথমেই দেখা যায় নাটালি পোর্ট্ম্যানের 'অ্যালিস' আর জুড লও এর  'ড্যান' এর মধ্যে চোখাচোখি। ইন্সট্যান্ট কেমিস্ট্রি। শুরু হলো কাছে আসার গল্প। এই ভুল ভাঙ্গাতে দেরি হয়না - কিছুক্ষ্ণ পরেই দেখা যায় ড্যানের দ্বৈত চরিত্রকে। তাই বলে অ্যানা-ও যে দোষহীন তা বলা যায়না। ড্যান, অ্যালিস, অ্যানা ও ল্যারির মধ্যে যে ব্যাপারটা, তাকে কি বলা যায় - লাভ স্কয়্যার? সিনেমাটিতে চরিত্রগুলোর মধ্যে মিষ্টি প্রেমের খোঁজে আসলে ব্যর্থ হতে হবে। তবে লেখকের উদ্ধৃতি করার মত ডায়ালগ এবং ডিরেক্টরের ইন্টেরেস্ট ধরে রাখার ক্ষমতার মিশেল অসাধারণ। ফলস্বরূপ যে কাহিনীটা চোখের সামনে ফুঁটে উঠতে থাকে , তাকে ভালোবাসার গল্প না বলা যাবেনা হয়তো; এতে সূক্ষ্মভাবে দেখা যায় ভালোবাসা ও বিশ্বাসের আরেকরকম ডেফিনিশন।   বিশ্বাসের কথা থেকে উল্লেখযোগ্য - বিভিন্ন দৃশ্যে ড্যান এবং ল্যারি তাদের পার্টনারকে বলে তাদের ভালোবাসে বলেই তারা তাদের সাথে মিথ্যা বলতে চায় না, তাদের কাছ থেকে ক...

Dig Two Graves (2014)

Image
হান্টার অ্যাডামসের গল্প এবং ডিরেকশন, আমার কাছে নতুন, যেমন নতুন সুইডিশ সিনেমাটোগ্রাফার এরিক ম্যাডিসনের কাজও। সেই হিসেবে পুরষ্কারজয়ী ' ডিগ টু গ্রেইভস ' সিনেমাটি আমার জন্য পরিচিতিপর্ব বলা চলে। মূলতঃ হরর ক্যাটেগরিতে নমিনেশন পেলেও একে থ্রিলার বলাটাই ভালো যদিও এর মধ্যে কিছু হরর ইলিমেন্ট আছে। বিশেষতঃ জিপ্‌সি, ব্ল্যাক ম্যাজিক কিছু কিছু উপাদান আছে, যদিও সিনেমার দৈর্ঘ্যের তুলনায় সেগুলোর উপস্থিতি কম। কিন্তু সিনেমার বর্ণ্নায় এতটুকু দেখে মনে হওয়াই স্বাভাবিক এটি একই ধরনের ফিল্মগুলোর (১৯৭৩ এর ' দি উইকারম্যান   '   এর কথা মনে আসছে) মত এতে ন্যুডিটি, স্ল্যাশার থিম থাকবে কিন্তু এগুলো নেই বললেই চলে। যদিও একধরনের শিরশিরে ভাব আছে কিছুটা। তথাপি, হরর থিম। এছাড়াও, সাউথার্ন ইলিনয়ের প্রকৃতি-আবৃত সেটিং, সেট ডিসাইন এবং ম্যাডিসনের ফটোগ্রাফিতে সিনেমাটিতে সাউথার্ন গথিক ভাবটা প্রকটভাবে চোখে পড়ে। যদিও অনেক চরিত্রের সাউথার্ন অ্যাক্সেন্ট এবং সিনেমাটির কিছু 'কামিং-অফ-এইজ' থিমের জন্য একে অনেকে স্টিফেন কিং এর ' দি বডি  ' এবং সেই সূত্রে ' স্ট্যান্ড বাই মি  ' (১৯৮৬) এর সাথে তুল...

জীবন যখন এক্সিস্টেনশিয়াল হরর

Image
টাইটেল দিয়ে মিসইনফর্মেশন দিয়ে ফেলবো - তাই আগেভাগেই বলে রাখা ভালো, বর্তমানের অন্যতম সফল ইন্ডি ফিল্মমেকার ডেভিড লোয়ারি'র A Ghost Story (২০১৭) ভূতের গল্প নয় - এবং এরকম মার্কেটিং ও করা হয়নি বলেই আশা লোয়ারির, যদিও তার মতে, "আমি শিওর কোন একটা থিয়েটারে কেউ কেউ রেগেমেগে চিন্তা করছে, শুধু শুধু ১৫ ডলার খরচ করলাম হরর দেখবো মনে করে।"    গল্পের অনুপ্রেরণাটাও সরলঃ লোয়ারির স্ত্রী চাচ্ছিলের তারা লস এঞ্জেলেসে স্থানান্তর করবেন, কিন্তু তাদের টেক্সাসের বাসাটির প্রতি এক ধরনের মায়া জন্মে গিয়েছিল লোয়ারির। সেই সময়ে তিনি এক ধরনের এক্সিস্টেনশিয়াল ডিপ্রেশনের মধ্যেও ছিলেন, বলেন তিনি। এরপর রুনি মারা আর কেসি অ্যাফ্লেককে নিয়ে টেক্সাসে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে শুট করে ফেলেন 'আ গোস্ট স্টোরি' । ফিল্মমেকার নিজে একজন এথিইস্ট, পরকালে বিশ্বাস নেই তার, বলেছেন তিনি - এসময় পৃথিবীতে নিজের সৃষ্টি ও অস্তিত্বের অস্থায়িত্ব ও তুচ্ছতার চিন্তা প্লাবিত করে সবাইকেই, বিশেষ করে আর্টিস্ট ও শিল্পস্রষ্টাদের। এই অনুভূতিকে তুলে ধরে এনেছেন ফিল্মমেকার অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে। একাডেমিক রেশিওর ১.৩৩ঃ১ ফ্রেমে আবদ্ধ, এর কোণাগ...