Closer (2004)
প্যাট্রিক মার্বারের পুরষ্কারপ্রাপ্ত ব্রডওয়ে থিয়েটার নাটক থেকে বড়পর্দার অ্যাডাপশন, ডিরেক্টর মাইক নিকোলসের "ক্লোজার"। মরিসির সাউন্ডট্র্যাকে প্রথমেই দেখা যায় নাটালি পোর্ট্ম্যানের 'অ্যালিস' আর জুড লও এর 'ড্যান' এর মধ্যে চোখাচোখি। ইন্সট্যান্ট কেমিস্ট্রি। শুরু হলো কাছে আসার গল্প।
এই ভুল ভাঙ্গাতে দেরি হয়না - কিছুক্ষ্ণ পরেই দেখা যায় ড্যানের দ্বৈত চরিত্রকে। তাই বলে অ্যানা-ও যে দোষহীন তা বলা যায়না। ড্যান, অ্যালিস, অ্যানা ও ল্যারির মধ্যে যে ব্যাপারটা, তাকে কি বলা যায় - লাভ স্কয়্যার? সিনেমাটিতে চরিত্রগুলোর মধ্যে মিষ্টি প্রেমের খোঁজে আসলে ব্যর্থ হতে হবে। তবে লেখকের উদ্ধৃতি করার মত ডায়ালগ এবং ডিরেক্টরের ইন্টেরেস্ট ধরে রাখার ক্ষমতার মিশেল অসাধারণ। ফলস্বরূপ যে কাহিনীটা চোখের সামনে ফুঁটে উঠতে থাকে , তাকে ভালোবাসার গল্প না বলা যাবেনা হয়তো; এতে সূক্ষ্মভাবে দেখা যায় ভালোবাসা ও বিশ্বাসের আরেকরকম ডেফিনিশন।
বিশ্বাসের কথা থেকে উল্লেখযোগ্য - বিভিন্ন দৃশ্যে ড্যান এবং ল্যারি তাদের পার্টনারকে বলে তাদের ভালোবাসে বলেই তারা তাদের সাথে মিথ্যা বলতে চায় না, তাদের কাছ থেকে কথা গোপন করতে চায় না। কিন্তু দেখা যায় মিথ্যার চেয়ে সত্যটাই বেশি জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে। একসময় চিন্তা করতে বাধ্য হবে দর্শক - আসলেই কি কেউ কাউকে ভালোবাসে। এমনকি সবচেয়ে সিম্প্যাথেটিক যে চরিত্র অ্যালিস - দেখা যায় তারও আরেকটা দিক আছে চরিত্রের । হয়তো সে-ই সবচেয়ে বড় মিথ্যা বলেছে - কিন্তু তার মিথ্যা কাওকে ক্ষতিগ্রস্থ করেনি - যেখানে সত্যি কথা আর ভালোবাসা সমান্তরাল কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতে বাধ্য। সত্যি-মিথ্যার এরকম একটা ধোঁয়াশামূলক গল্প - কিন্তু সত্যিটাই বা কি দরকার, ড্যানের উক্তিতে "Because I'm addicted to it. Because without it, we're animals." আসলেই?
সিনেমার ব্লকিং বেশ ভালো লেগেছে - বিশেষ করে চরিত্রগুলোর মধ্যে সংঘাতমূলক দৃশ্যগুলো (যা সিনেমার বড় একটা অংশ) এমনভাবে চলতে থাকে যে, কিছুটা সাস্পেন্স তৈরি হয়। সেক্স চরিত্রগুলোর মধ্যে "ভালোবাসার সম্পর্কের" একটা প্রধান অংশ। তাদের সম্পর্কের অনেকাংশই নির্ধারিত হতে দেখা যায় এর মাধ্যমে। সবগুলো চরিত্রের মধ্যেই রয়েছে কিছুনা কিছু দ্বন্দ্ব। সেই হিসেবে তূলনামূলকভাবে কম 'অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব' দেখা যায় হয়তো ল্যারির মধ্যে। এজন্য সে স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছে যে অ্যানার ডিপ্রেসিভ পার্সোনালিটি তাকে সুখ দূরে ঠেলে দিতে বাধ্য করে। কিন্তু যার জন্য অ্যানা সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিল তার সাথে কি আসলেই সুখী ছিল? মেয়েরা কি শুধুই আনন্দের জন্য মিথ্যা বলে?
এরকম অনেক অনেক উত্তরের চেয়ে প্রশ্নই বেশি উঠে আসবে সিনেমাটি দেখা শেষ করার পর। এটিই সম্ভবত সিনেমার সবচেয়ে বড় চার্ম। সিনেমাটিতে সেক্স বেশ বড় একটা ব্যাপার হলেও তার ইঙ্গিতমূলক দৃশ্যও নেই বললেই চলে। এমনকি চরিত্রগুলোর মধ্যে সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন বা টেনশনও দেখা যায় না। এটি হয়তো প্রো অথবা কন।
মূল নাটকের মত সিনেমাটি সেরকম ট্র্যাজিক নয় - তাই বলে এটা আনন্দমূলক, বা কমেডিক সিনেমাও নয়, বরং বিপরীতটাই বলা যেতে পারে। কেউ যদি কখনও ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে থাকে - তাহলে সিনেমাটা থেকে আশার বাণী পাওয়া যাবে সেটা ভুল। বা এটি হানিকির সিনেমাগু্লোর মত 'ক্যারেক্টার স্টাডি'ও নয়। তবে জটিলতা, বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা এবং ড্রামার বেশ শৈলিপূর্ণ এক ফোরসাম।
এই ভুল ভাঙ্গাতে দেরি হয়না - কিছুক্ষ্ণ পরেই দেখা যায় ড্যানের দ্বৈত চরিত্রকে। তাই বলে অ্যানা-ও যে দোষহীন তা বলা যায়না। ড্যান, অ্যালিস, অ্যানা ও ল্যারির মধ্যে যে ব্যাপারটা, তাকে কি বলা যায় - লাভ স্কয়্যার? সিনেমাটিতে চরিত্রগুলোর মধ্যে মিষ্টি প্রেমের খোঁজে আসলে ব্যর্থ হতে হবে। তবে লেখকের উদ্ধৃতি করার মত ডায়ালগ এবং ডিরেক্টরের ইন্টেরেস্ট ধরে রাখার ক্ষমতার মিশেল অসাধারণ। ফলস্বরূপ যে কাহিনীটা চোখের সামনে ফুঁটে উঠতে থাকে , তাকে ভালোবাসার গল্প না বলা যাবেনা হয়তো; এতে সূক্ষ্মভাবে দেখা যায় ভালোবাসা ও বিশ্বাসের আরেকরকম ডেফিনিশন।
বিশ্বাসের কথা থেকে উল্লেখযোগ্য - বিভিন্ন দৃশ্যে ড্যান এবং ল্যারি তাদের পার্টনারকে বলে তাদের ভালোবাসে বলেই তারা তাদের সাথে মিথ্যা বলতে চায় না, তাদের কাছ থেকে কথা গোপন করতে চায় না। কিন্তু দেখা যায় মিথ্যার চেয়ে সত্যটাই বেশি জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে। একসময় চিন্তা করতে বাধ্য হবে দর্শক - আসলেই কি কেউ কাউকে ভালোবাসে। এমনকি সবচেয়ে সিম্প্যাথেটিক যে চরিত্র অ্যালিস - দেখা যায় তারও আরেকটা দিক আছে চরিত্রের । হয়তো সে-ই সবচেয়ে বড় মিথ্যা বলেছে - কিন্তু তার মিথ্যা কাওকে ক্ষতিগ্রস্থ করেনি - যেখানে সত্যি কথা আর ভালোবাসা সমান্তরাল কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতে বাধ্য। সত্যি-মিথ্যার এরকম একটা ধোঁয়াশামূলক গল্প - কিন্তু সত্যিটাই বা কি দরকার, ড্যানের উক্তিতে "Because I'm addicted to it. Because without it, we're animals." আসলেই?
সিনেমার ব্লকিং বেশ ভালো লেগেছে - বিশেষ করে চরিত্রগুলোর মধ্যে সংঘাতমূলক দৃশ্যগুলো (যা সিনেমার বড় একটা অংশ) এমনভাবে চলতে থাকে যে, কিছুটা সাস্পেন্স তৈরি হয়। সেক্স চরিত্রগুলোর মধ্যে "ভালোবাসার সম্পর্কের" একটা প্রধান অংশ। তাদের সম্পর্কের অনেকাংশই নির্ধারিত হতে দেখা যায় এর মাধ্যমে। সবগুলো চরিত্রের মধ্যেই রয়েছে কিছুনা কিছু দ্বন্দ্ব। সেই হিসেবে তূলনামূলকভাবে কম 'অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব' দেখা যায় হয়তো ল্যারির মধ্যে। এজন্য সে স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছে যে অ্যানার ডিপ্রেসিভ পার্সোনালিটি তাকে সুখ দূরে ঠেলে দিতে বাধ্য করে। কিন্তু যার জন্য অ্যানা সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিল তার সাথে কি আসলেই সুখী ছিল? মেয়েরা কি শুধুই আনন্দের জন্য মিথ্যা বলে?
এরকম অনেক অনেক উত্তরের চেয়ে প্রশ্নই বেশি উঠে আসবে সিনেমাটি দেখা শেষ করার পর। এটিই সম্ভবত সিনেমার সবচেয়ে বড় চার্ম। সিনেমাটিতে সেক্স বেশ বড় একটা ব্যাপার হলেও তার ইঙ্গিতমূলক দৃশ্যও নেই বললেই চলে। এমনকি চরিত্রগুলোর মধ্যে সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন বা টেনশনও দেখা যায় না। এটি হয়তো প্রো অথবা কন।
মূল নাটকের মত সিনেমাটি সেরকম ট্র্যাজিক নয় - তাই বলে এটা আনন্দমূলক, বা কমেডিক সিনেমাও নয়, বরং বিপরীতটাই বলা যেতে পারে। কেউ যদি কখনও ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে থাকে - তাহলে সিনেমাটা থেকে আশার বাণী পাওয়া যাবে সেটা ভুল। বা এটি হানিকির সিনেমাগু্লোর মত 'ক্যারেক্টার স্টাডি'ও নয়। তবে জটিলতা, বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা এবং ড্রামার বেশ শৈলিপূর্ণ এক ফোরসাম।
Comments
Post a Comment