Posts

Showing posts from September, 2017

চাইনিজ জেসমিন টি

Image
দোকানে £১.৯৯ (তখন ব্রেক্সিটের কারণে ১৯৯ টিয়া ) দেখে ব্যাগে পুড়ে নিয়েছিলাম। দাম দিতে গিয়ে দেখি ৩ এর বেশি। মেজাজ গেল হাল্কা খারাপ হয়ে। নাম হলো চুংপুং ব্র্যান্ড। আচ্ছা রেইসিস্ট জোক অ্যাসাইড, কিছু একটা গোল্ডেন সেইল ব্র্যান্ড। ২০ টার প্যাকেট। বাইরের ডিজাইনটা অনেক আকর্ষণীয়। অন্যান্য চা-এর বাক্সের মতন একে চেস্ট-টাইপের বক্সের মতন ব্যবহার করা যায়। পরে বুজছি এটার দাম অন্যান্য জেসমিন টি এর চেয়ে বেশি কেন। প্রিমিয়াম স্টাইলে রাইসপেপার কাগজের ভেতরে একেক্টা টিব্যাগ। ইস্পাহানির চেয়ে বড় সাইজ, কিন্তু পাতলা। খোলার সাথে সাথেই একটা গাড় ঘ্রাণ পাওয়া যায়। পাতাগুলোও টিব্যাগের পোড়ানো চা এর মতন না, শুকনো সবুজ পাতা। এক ধরনের ফুলেল ঘ্রাণযুক্ত - জেসমিন ফুলের মতন না, সাধারণ চা পাতার ঘ্রাণের মিক্সঃ একটু কড়া ধরনের। খারাপ মেজাজ ভালো করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ফিনিশড প্রোডাক্ট ! চাটা কটকটে হলুদ রঙের - বেশি জ্বাল দিলে গাঢ় কমলা রং পর্যন্ত হতে পারে। পাতার ঘ্রাণটাও অটুট থাকে - স্বাদটাও একইরকম। বেশি জ্বাল দিলে অবশ্য বেশি কড়া পাতার স্বাদ হয়ে যায়, তবে ব্ল্যাক-টি এর মত না। টক, মিষ্টি এরকম কোন আলাদা স্বাদ পা...

কুকুরদাঁত

Image
গ্রিক কিয়োনোদন্তাস   আক্ষরিক অর্থে কষদাঁত/ কেনাইনদাঁত/ ফ্যাং (ডগটিথ নামেও পরিচিত) - কুকুরের তো আছেই, মানুষেরও আছে। একপর্যায়ে কুকুরের ট্রেইনার বলেনঃ কুকুর হচ্ছে মাটির মতন - তাকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে গড়ে তোলার জন্য ট্রেইনিং দিতে হবে। ব্যাপারটা কি মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? দি শাইনিং, এনিওয়ান? গ্রিক লেখক/পরিচালক ইয়োর্গোস লান্থিমোসের ২০০৯ এর ফিল্ম Κυνόδοντας ( Dogtooth ) এর প্রতিটি সীন বা দৃশ্যের কাফকায়েস্ক গল্প বলার ভঙ্গি থেকে অনেক ক্রিটিক তাকে মাইকেল হানিকির সাথে তুলনা করেন। সিনেমাটোগ্রাফার থিমিওস বাকাতাকিস তার আগের সিনেমা Kinetta (২০০৫)-তেও তার সাথে কাজ করেছেন - আর তার সফট কালার প্যালেট আর কিছুটা অন্যরকম ফ্রেমিং লান্থিমোসের সারিয়েল ধরনের গল্পটার সাথে মানিয়ে যায়ঃ যেন একটা মানুষ সোজা মুখে বলছে সে একজনকে খুন করেছে। গল্পের পেসিং প্রায় পুরোটা ফিল্ম জুড়ে একইরকমঃ তাই আমরা জানিনা এরপর কি এক্সপেক্ট করতে হবে। সিনেমার একদম শুরুই হয় এক টেপরেকর্ডার থেকেঃ যেখানে তিনজন ভাইবোন শিখে যে 'সমুদ্র মানে একধরনের আর্মচেয়ার' । ডগটুথ সিনেমাটা দেখা একটা এক্সপিরিয়েন্স। এটা বুঝতে হলে সিনেম...

It Comes At Night: মৃত্যুর মুখে মানবতা

Image
পৃথিবীর শেষ ব্যাপারটা কেমন হবে? অ্যাপোক্যালিপ্স বলতে এখনও মানবসমাজেরই শেষ বোঝানো হয় - কিন্তু তখন কেমন হতে পারে? এই প্রশ্ন নিয়ে আর্টিস্টদের চারণার শেষ নেই। সেটা কেমন হতে পারে? তখন মানুষ কেমন হতে পারে? Mad Max Fury Road (২০১৫) এর তেলের উপর ভিত্তি করে ক্ষমতা ব্যবস্থা, The Road (২০০৯) এর জীবনের মৌলিক উপাদান খুঁজে বেঁচে থাকার সংগ্রাম, না 28 Days Later (২০০১) এর জম্বি থেকে পালিয়ে থাকা? তখন মানুষের সাইকোলজিক্যাল অবস্থা কেমন হতে পারে?  Krisha (২০১৫) খ্যাত লেখক-ডিরেক্টর ট্রেই এডওয়ার্ড শুলজ তার দ্বিতীয় ফিচার It Comes At Night (২০১৭) এর জন্য অনুপ্রেরণা নেন কার্পেন্টারের  The Thing , কুব্রিকের  The Shining আর রোমেরোর  Night of The Living Dead এর মত হরর ক্লাসিকগুলো থেকে - যদিও তিনি এই ফিল্মটিকে হরর ফিল্ম হিসেবে দেখেন না। এইসব ক্লাসিকগুলোতে বিপদের মুখে কিভাবে ভয় থেকে অবিশ্বাস ও প্যারানয়া মানুষকে পরিবর্তন করে ফেলে - এই বিষয়টি তাকে আকর্ষিত করে, বলেছেন শুলজ। মানুষের নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার যে চেষ্টা, ভূত/এলিয়েন বা অভূতপূর্ব বিপদের থেকে নিজেকে বা নিজের পরিবারকে শক্তিশালী প্র...

সুইসাইড সার্কলঃ সুইসাইড ও সমাজ

Image
লেখক, ফিল্মমেকার, কবি সিওন সোনোর সম্ভবত সবচেয়ে পরিচিত সিনেমা Suicide Club/ Suicide Circle (২০০১) নিয়ে একটি ব্যাপার পরিষ্কারঃ এই ফিল্মটি মানুষ হয় ভালোবাসে নাহলে বুঝতে পারেনা। সিনেমাটি নিয়ে লিখতে বসে লিখা শেষ করতে পারছিলাম না। তাই এটি যতটা না রিভিউ, তার চেয়ে বেশি অ্যানালাইসিস। তাই বলা বাহুল্য - এটি ভালোই স্পয়লার্ড। আমি রিকমেন্ড করবো দেখা না থাকলে আগে সিনেমাটি দেখে নিতে। আমার মত যারা স্পয়লার জেনে নিয়েই শুরু করো তাদের কথা ভিন্ন। যাইহোক, শুনলে হয়তো মনে হবে আমি প্রথম দলে - কিন্তু সিনেমাটির ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে জানা যায় যে, গল্পকার/ডিরেক্টর সোনোর বন্ধু হঠাৎ করে সুইসাইড করেছিলেন - কারণটা আর জানা যায়নি। সেখান থেকে ইন্সপায়ারেশন পেয়েছিলেন এই অল-রাউন্ডার। তাই সিনেমাটিতে যদি কনফিউশনের একটা ভাব থাকে, তবে বলতে হবে সেটি তার এই মাইন্ডসেট থেকেই উদ্ভূত। তাই সিনেমাটির ডিটেক্টিভ কুরোদা ও ডিটেক্টিভ শিবুসাওয়ার মতন আমরাও যদি চিন্তা করতে থাকি কিভাবে কি - তাহলে একটু ঝামেলায় পড়তে হবে। অনেক ক্রিটিক কোন এক কারণে একে তাকাশি মিকের Audition (১৯৯২) এর সাথে তুলনা করেন (দুইটিই হরর/ রিও ইশিবাশি আছেন দুইটিতে এই কার...

The Taqwacores: পাঙ্ক, ইসলাম, অ্যাফিলিয়েশন, কন্ট্রাডিকশন

Image
মাইকেল মুহাম্মাদ নাইট ও তাকওয়া-কোর টার্ম দুইটার সাথেই আমার পরিচয় হঠাৎ করেঃ তবে, আমি তার বইটা পড়িনি, যেটি থেকে তৈরি সিমিলারলি টাইটেল্ড The Taqwacores (২০১০) নাইট নিজে আমেরিকান মুসলিম তরুণদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় তার আলোচনার জন্য; আর তার শুরুটা হয়েছিল তার ২০০৩ সালের বইটি থেকে। তিনি নিজে ইসলাম গ্রহণ করেন ১৬ বছর বয়সে - এরপর ইসলাম নিয়ে আরো বেশি শিক্ষার্জন করতে তিনি যান পাকিস্তানে। তরুণ বয়সে নাইট পাঙ্করক সীনের সাথে অনেক যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তার এই দুইটি বিশ্বাসের মধ্যে কন্ট্রাডিক্‌শনের মধ্যে সমতা বা 'কাথার্সিস'-এর উদ্দেশ্যে তার এই লেখা। তবে লেখার সময়ে তিনি তার বিশ্বাস নিয়ে সন্দীহান ছিলেন - এবং তার লেখাটি মূলতঃ তার ইসলামে নিজের ইন্টারপ্রেটেশন নিয়ে অভিযান (যা অনেকটা সূফিবাদ থেকে অনুপ্রাণিত)। ফিল্মটি তৈরি হয়েছে প্রায় ৭ বছর পরে, যেই কারণে ধারণা করা যায় যে তার পরবর্তী বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নিজের সাথে কিছুটা সমতায় এসেছেন - যেই কারণে এই সিনেমাটিতে অনেক প্রশ্নের সাথে অনেক উত্তরও পাওয়া যায়, যা, বলা বাহুল্য, নাইটের নিজস্ব মতামত, কিন্তু তারপরও বলা যায় অনেকগুলো ইন্টেরেস্টিং প্রশ্ন ...