Posts

Showing posts from 2017

দি কিলিং অফ আ সেইক্রেড ডিয়ার (২০১৭)

Image
লান্থিমোস মানেই সিম্বোলিজম, কাহিনীর অন্তরালের কাহিনী...আর এক্সপেক্টেশনের পরাজয়। তাই 'দি কিলিং অফ দি সেইক্রেড ডিয়ার'  এর শুরুটায় যখন দেখা যায় লং টেক-এ একটা জীবন্ত হৃদপিন্ড, ব্যাকগ্রাউন্ডে শুবার্টের সাবাট মেটার ডি৩৮৩ - 'জিসাস ক্রাইস্ট হ্যাংস অন আ ক্রস': প্রায়... ধর্মীয় আবেগঘন, 'সেইক্রেড' এক পরিবেশ, যাকে 'শকার' দিয়ে দুমরে মুচড়ে দিয়েছেন ডিরেক্টর, তখনই কিছুটা আঁচ করা যায় কাহিনীর গভীরতা। শুরু হয় অন্ধকার, অন্ধকার এক থ্রিলার।      ডিরেক্টরের একটা জিনিস খুব চোখে পড়ে, জাম্পকাটের মধ্য দিয়ে নতুন এমন এক তথ্য দেওয়া যার মধ্যে দিয়ে সেই জগতটার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। তবে সত্যি বলতে তার আগের কাজগুলোর স্থান প্রায় 'সারিয়েল' এক জগতে, যার সম্পর্কে কিছুই জানা নেই বললেই চলে। তাই সেগুলো আমাদের যেমন চমকে দেয়, তেমনি সেই বাস্তবতা নিয়ে আমাদের জ্ঞানে একটা নতুন মাত্রা যোগ করে। পক্ষান্তরে, 'সেইক্রেড ডিয়ার' এর অবস্থান আমাদের এই পৃথিবীতেই, এই বাস্তব ডাইমেনশনে। সেই দিক থেকে তিনি বেশ ছাড় পেয়েছেন, এবং এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি, সহলেখক ফিলিপো ও তার সবসময়ের...

The Butterfly Effect (2004)

Image
'বাটারফ্লাই ইফেক্ট' ফেনোমেনোনটার সাথে পরিচিত নয়, এরকম মানুষ আমি দেখিনি বললেই চলে - সিনেমার শুরুতেই কেওস থিওরির এই টপিকটার সাথে একটা পরিচিতি করিয়ে দেওয়া হয়; সোজা ভাষায় বলতে গেলে, ছোট ছোট বিষয়গুলো কিভাবে বড় একটা ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, এটি 'বাটারফ্লাই ইফেক্ট' এর মূল বক্তব্য। যদি এই ব্যাকগ্রাউন্ডটি দিয়ে একটা সাই-ফাই ঘটনা বা সিনেমা দাঁড় করানো যায়  - জটিল একটা ব্যাপার, চিন্তা করাই যায়! তবে সিনেমাটিকে মেইন্সট্রিম ধাঁচের সিনেমা বললেই ভালো হবে - ক্রিটিকদের দুই চোখের বিষ, দর্শকদের কাছে সফল। সিরিয়াস সিনেফাইলদের কাছে '৪০ মিনিটের পর ডিএনএফ'। পার্সোনালি, আমার কাছে সিনেমাটিকে বেশ ইন্টেরেস্টিং-ই মনে হয়েছে প্রথম দেখার ক্ষেত্রে। মূলতঃ শিশু ইভানের জীবনে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যায়, যার মোক্ষম মূহূর্তে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং তখনকার ঘটনা সে কিছুতেই মনে করতে পারেনা। পরবর্তী জীবনে সে যখন এই ঘটনাগুলোর রহস্য উদ্ঘাটন করতে যায়, তখন এর ফলাফল হিসেবে নেমে আসে দুর্যোগ। একসময়ে সে আবিষ্কার করতে পারে যে তার ক্ষমতা আছে অতীতে ফিরে যাবার, এবং এভাবে সে অনেকগুলো জটিলতাকে সমাধান করার চেষ্টা করে - ক...

Closer (2004)

Image
প্যাট্রিক মার্বারের পুরষ্কারপ্রাপ্ত ব্রডওয়ে থিয়েটার নাটক থেকে বড়পর্দার অ্যাডাপশন, ডিরেক্টর মাইক নিকোলসের "ক্লোজার"। মরিসির সাউন্ডট্র্যাকে প্রথমেই দেখা যায় নাটালি পোর্ট্ম্যানের 'অ্যালিস' আর জুড লও এর  'ড্যান' এর মধ্যে চোখাচোখি। ইন্সট্যান্ট কেমিস্ট্রি। শুরু হলো কাছে আসার গল্প। এই ভুল ভাঙ্গাতে দেরি হয়না - কিছুক্ষ্ণ পরেই দেখা যায় ড্যানের দ্বৈত চরিত্রকে। তাই বলে অ্যানা-ও যে দোষহীন তা বলা যায়না। ড্যান, অ্যালিস, অ্যানা ও ল্যারির মধ্যে যে ব্যাপারটা, তাকে কি বলা যায় - লাভ স্কয়্যার? সিনেমাটিতে চরিত্রগুলোর মধ্যে মিষ্টি প্রেমের খোঁজে আসলে ব্যর্থ হতে হবে। তবে লেখকের উদ্ধৃতি করার মত ডায়ালগ এবং ডিরেক্টরের ইন্টেরেস্ট ধরে রাখার ক্ষমতার মিশেল অসাধারণ। ফলস্বরূপ যে কাহিনীটা চোখের সামনে ফুঁটে উঠতে থাকে , তাকে ভালোবাসার গল্প না বলা যাবেনা হয়তো; এতে সূক্ষ্মভাবে দেখা যায় ভালোবাসা ও বিশ্বাসের আরেকরকম ডেফিনিশন।   বিশ্বাসের কথা থেকে উল্লেখযোগ্য - বিভিন্ন দৃশ্যে ড্যান এবং ল্যারি তাদের পার্টনারকে বলে তাদের ভালোবাসে বলেই তারা তাদের সাথে মিথ্যা বলতে চায় না, তাদের কাছ থেকে ক...

Dig Two Graves (2014)

Image
হান্টার অ্যাডামসের গল্প এবং ডিরেকশন, আমার কাছে নতুন, যেমন নতুন সুইডিশ সিনেমাটোগ্রাফার এরিক ম্যাডিসনের কাজও। সেই হিসেবে পুরষ্কারজয়ী ' ডিগ টু গ্রেইভস ' সিনেমাটি আমার জন্য পরিচিতিপর্ব বলা চলে। মূলতঃ হরর ক্যাটেগরিতে নমিনেশন পেলেও একে থ্রিলার বলাটাই ভালো যদিও এর মধ্যে কিছু হরর ইলিমেন্ট আছে। বিশেষতঃ জিপ্‌সি, ব্ল্যাক ম্যাজিক কিছু কিছু উপাদান আছে, যদিও সিনেমার দৈর্ঘ্যের তুলনায় সেগুলোর উপস্থিতি কম। কিন্তু সিনেমার বর্ণ্নায় এতটুকু দেখে মনে হওয়াই স্বাভাবিক এটি একই ধরনের ফিল্মগুলোর (১৯৭৩ এর ' দি উইকারম্যান   '   এর কথা মনে আসছে) মত এতে ন্যুডিটি, স্ল্যাশার থিম থাকবে কিন্তু এগুলো নেই বললেই চলে। যদিও একধরনের শিরশিরে ভাব আছে কিছুটা। তথাপি, হরর থিম। এছাড়াও, সাউথার্ন ইলিনয়ের প্রকৃতি-আবৃত সেটিং, সেট ডিসাইন এবং ম্যাডিসনের ফটোগ্রাফিতে সিনেমাটিতে সাউথার্ন গথিক ভাবটা প্রকটভাবে চোখে পড়ে। যদিও অনেক চরিত্রের সাউথার্ন অ্যাক্সেন্ট এবং সিনেমাটির কিছু 'কামিং-অফ-এইজ' থিমের জন্য একে অনেকে স্টিফেন কিং এর ' দি বডি  ' এবং সেই সূত্রে ' স্ট্যান্ড বাই মি  ' (১৯৮৬) এর সাথে তুল...

জীবন যখন এক্সিস্টেনশিয়াল হরর

Image
টাইটেল দিয়ে মিসইনফর্মেশন দিয়ে ফেলবো - তাই আগেভাগেই বলে রাখা ভালো, বর্তমানের অন্যতম সফল ইন্ডি ফিল্মমেকার ডেভিড লোয়ারি'র A Ghost Story (২০১৭) ভূতের গল্প নয় - এবং এরকম মার্কেটিং ও করা হয়নি বলেই আশা লোয়ারির, যদিও তার মতে, "আমি শিওর কোন একটা থিয়েটারে কেউ কেউ রেগেমেগে চিন্তা করছে, শুধু শুধু ১৫ ডলার খরচ করলাম হরর দেখবো মনে করে।"    গল্পের অনুপ্রেরণাটাও সরলঃ লোয়ারির স্ত্রী চাচ্ছিলের তারা লস এঞ্জেলেসে স্থানান্তর করবেন, কিন্তু তাদের টেক্সাসের বাসাটির প্রতি এক ধরনের মায়া জন্মে গিয়েছিল লোয়ারির। সেই সময়ে তিনি এক ধরনের এক্সিস্টেনশিয়াল ডিপ্রেশনের মধ্যেও ছিলেন, বলেন তিনি। এরপর রুনি মারা আর কেসি অ্যাফ্লেককে নিয়ে টেক্সাসে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে শুট করে ফেলেন 'আ গোস্ট স্টোরি' । ফিল্মমেকার নিজে একজন এথিইস্ট, পরকালে বিশ্বাস নেই তার, বলেছেন তিনি - এসময় পৃথিবীতে নিজের সৃষ্টি ও অস্তিত্বের অস্থায়িত্ব ও তুচ্ছতার চিন্তা প্লাবিত করে সবাইকেই, বিশেষ করে আর্টিস্ট ও শিল্পস্রষ্টাদের। এই অনুভূতিকে তুলে ধরে এনেছেন ফিল্মমেকার অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে। একাডেমিক রেশিওর ১.৩৩ঃ১ ফ্রেমে আবদ্ধ, এর কোণাগ...

চাইনিজ জেসমিন টি

Image
দোকানে £১.৯৯ (তখন ব্রেক্সিটের কারণে ১৯৯ টিয়া ) দেখে ব্যাগে পুড়ে নিয়েছিলাম। দাম দিতে গিয়ে দেখি ৩ এর বেশি। মেজাজ গেল হাল্কা খারাপ হয়ে। নাম হলো চুংপুং ব্র্যান্ড। আচ্ছা রেইসিস্ট জোক অ্যাসাইড, কিছু একটা গোল্ডেন সেইল ব্র্যান্ড। ২০ টার প্যাকেট। বাইরের ডিজাইনটা অনেক আকর্ষণীয়। অন্যান্য চা-এর বাক্সের মতন একে চেস্ট-টাইপের বক্সের মতন ব্যবহার করা যায়। পরে বুজছি এটার দাম অন্যান্য জেসমিন টি এর চেয়ে বেশি কেন। প্রিমিয়াম স্টাইলে রাইসপেপার কাগজের ভেতরে একেক্টা টিব্যাগ। ইস্পাহানির চেয়ে বড় সাইজ, কিন্তু পাতলা। খোলার সাথে সাথেই একটা গাড় ঘ্রাণ পাওয়া যায়। পাতাগুলোও টিব্যাগের পোড়ানো চা এর মতন না, শুকনো সবুজ পাতা। এক ধরনের ফুলেল ঘ্রাণযুক্ত - জেসমিন ফুলের মতন না, সাধারণ চা পাতার ঘ্রাণের মিক্সঃ একটু কড়া ধরনের। খারাপ মেজাজ ভালো করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ফিনিশড প্রোডাক্ট ! চাটা কটকটে হলুদ রঙের - বেশি জ্বাল দিলে গাঢ় কমলা রং পর্যন্ত হতে পারে। পাতার ঘ্রাণটাও অটুট থাকে - স্বাদটাও একইরকম। বেশি জ্বাল দিলে অবশ্য বেশি কড়া পাতার স্বাদ হয়ে যায়, তবে ব্ল্যাক-টি এর মত না। টক, মিষ্টি এরকম কোন আলাদা স্বাদ পা...

কুকুরদাঁত

Image
গ্রিক কিয়োনোদন্তাস   আক্ষরিক অর্থে কষদাঁত/ কেনাইনদাঁত/ ফ্যাং (ডগটিথ নামেও পরিচিত) - কুকুরের তো আছেই, মানুষেরও আছে। একপর্যায়ে কুকুরের ট্রেইনার বলেনঃ কুকুর হচ্ছে মাটির মতন - তাকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে গড়ে তোলার জন্য ট্রেইনিং দিতে হবে। ব্যাপারটা কি মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? দি শাইনিং, এনিওয়ান? গ্রিক লেখক/পরিচালক ইয়োর্গোস লান্থিমোসের ২০০৯ এর ফিল্ম Κυνόδοντας ( Dogtooth ) এর প্রতিটি সীন বা দৃশ্যের কাফকায়েস্ক গল্প বলার ভঙ্গি থেকে অনেক ক্রিটিক তাকে মাইকেল হানিকির সাথে তুলনা করেন। সিনেমাটোগ্রাফার থিমিওস বাকাতাকিস তার আগের সিনেমা Kinetta (২০০৫)-তেও তার সাথে কাজ করেছেন - আর তার সফট কালার প্যালেট আর কিছুটা অন্যরকম ফ্রেমিং লান্থিমোসের সারিয়েল ধরনের গল্পটার সাথে মানিয়ে যায়ঃ যেন একটা মানুষ সোজা মুখে বলছে সে একজনকে খুন করেছে। গল্পের পেসিং প্রায় পুরোটা ফিল্ম জুড়ে একইরকমঃ তাই আমরা জানিনা এরপর কি এক্সপেক্ট করতে হবে। সিনেমার একদম শুরুই হয় এক টেপরেকর্ডার থেকেঃ যেখানে তিনজন ভাইবোন শিখে যে 'সমুদ্র মানে একধরনের আর্মচেয়ার' । ডগটুথ সিনেমাটা দেখা একটা এক্সপিরিয়েন্স। এটা বুঝতে হলে সিনেম...

It Comes At Night: মৃত্যুর মুখে মানবতা

Image
পৃথিবীর শেষ ব্যাপারটা কেমন হবে? অ্যাপোক্যালিপ্স বলতে এখনও মানবসমাজেরই শেষ বোঝানো হয় - কিন্তু তখন কেমন হতে পারে? এই প্রশ্ন নিয়ে আর্টিস্টদের চারণার শেষ নেই। সেটা কেমন হতে পারে? তখন মানুষ কেমন হতে পারে? Mad Max Fury Road (২০১৫) এর তেলের উপর ভিত্তি করে ক্ষমতা ব্যবস্থা, The Road (২০০৯) এর জীবনের মৌলিক উপাদান খুঁজে বেঁচে থাকার সংগ্রাম, না 28 Days Later (২০০১) এর জম্বি থেকে পালিয়ে থাকা? তখন মানুষের সাইকোলজিক্যাল অবস্থা কেমন হতে পারে?  Krisha (২০১৫) খ্যাত লেখক-ডিরেক্টর ট্রেই এডওয়ার্ড শুলজ তার দ্বিতীয় ফিচার It Comes At Night (২০১৭) এর জন্য অনুপ্রেরণা নেন কার্পেন্টারের  The Thing , কুব্রিকের  The Shining আর রোমেরোর  Night of The Living Dead এর মত হরর ক্লাসিকগুলো থেকে - যদিও তিনি এই ফিল্মটিকে হরর ফিল্ম হিসেবে দেখেন না। এইসব ক্লাসিকগুলোতে বিপদের মুখে কিভাবে ভয় থেকে অবিশ্বাস ও প্যারানয়া মানুষকে পরিবর্তন করে ফেলে - এই বিষয়টি তাকে আকর্ষিত করে, বলেছেন শুলজ। মানুষের নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার যে চেষ্টা, ভূত/এলিয়েন বা অভূতপূর্ব বিপদের থেকে নিজেকে বা নিজের পরিবারকে শক্তিশালী প্র...

সুইসাইড সার্কলঃ সুইসাইড ও সমাজ

Image
লেখক, ফিল্মমেকার, কবি সিওন সোনোর সম্ভবত সবচেয়ে পরিচিত সিনেমা Suicide Club/ Suicide Circle (২০০১) নিয়ে একটি ব্যাপার পরিষ্কারঃ এই ফিল্মটি মানুষ হয় ভালোবাসে নাহলে বুঝতে পারেনা। সিনেমাটি নিয়ে লিখতে বসে লিখা শেষ করতে পারছিলাম না। তাই এটি যতটা না রিভিউ, তার চেয়ে বেশি অ্যানালাইসিস। তাই বলা বাহুল্য - এটি ভালোই স্পয়লার্ড। আমি রিকমেন্ড করবো দেখা না থাকলে আগে সিনেমাটি দেখে নিতে। আমার মত যারা স্পয়লার জেনে নিয়েই শুরু করো তাদের কথা ভিন্ন। যাইহোক, শুনলে হয়তো মনে হবে আমি প্রথম দলে - কিন্তু সিনেমাটির ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে জানা যায় যে, গল্পকার/ডিরেক্টর সোনোর বন্ধু হঠাৎ করে সুইসাইড করেছিলেন - কারণটা আর জানা যায়নি। সেখান থেকে ইন্সপায়ারেশন পেয়েছিলেন এই অল-রাউন্ডার। তাই সিনেমাটিতে যদি কনফিউশনের একটা ভাব থাকে, তবে বলতে হবে সেটি তার এই মাইন্ডসেট থেকেই উদ্ভূত। তাই সিনেমাটির ডিটেক্টিভ কুরোদা ও ডিটেক্টিভ শিবুসাওয়ার মতন আমরাও যদি চিন্তা করতে থাকি কিভাবে কি - তাহলে একটু ঝামেলায় পড়তে হবে। অনেক ক্রিটিক কোন এক কারণে একে তাকাশি মিকের Audition (১৯৯২) এর সাথে তুলনা করেন (দুইটিই হরর/ রিও ইশিবাশি আছেন দুইটিতে এই কার...

The Taqwacores: পাঙ্ক, ইসলাম, অ্যাফিলিয়েশন, কন্ট্রাডিকশন

Image
মাইকেল মুহাম্মাদ নাইট ও তাকওয়া-কোর টার্ম দুইটার সাথেই আমার পরিচয় হঠাৎ করেঃ তবে, আমি তার বইটা পড়িনি, যেটি থেকে তৈরি সিমিলারলি টাইটেল্ড The Taqwacores (২০১০) নাইট নিজে আমেরিকান মুসলিম তরুণদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় তার আলোচনার জন্য; আর তার শুরুটা হয়েছিল তার ২০০৩ সালের বইটি থেকে। তিনি নিজে ইসলাম গ্রহণ করেন ১৬ বছর বয়সে - এরপর ইসলাম নিয়ে আরো বেশি শিক্ষার্জন করতে তিনি যান পাকিস্তানে। তরুণ বয়সে নাইট পাঙ্করক সীনের সাথে অনেক যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তার এই দুইটি বিশ্বাসের মধ্যে কন্ট্রাডিক্‌শনের মধ্যে সমতা বা 'কাথার্সিস'-এর উদ্দেশ্যে তার এই লেখা। তবে লেখার সময়ে তিনি তার বিশ্বাস নিয়ে সন্দীহান ছিলেন - এবং তার লেখাটি মূলতঃ তার ইসলামে নিজের ইন্টারপ্রেটেশন নিয়ে অভিযান (যা অনেকটা সূফিবাদ থেকে অনুপ্রাণিত)। ফিল্মটি তৈরি হয়েছে প্রায় ৭ বছর পরে, যেই কারণে ধারণা করা যায় যে তার পরবর্তী বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নিজের সাথে কিছুটা সমতায় এসেছেন - যেই কারণে এই সিনেমাটিতে অনেক প্রশ্নের সাথে অনেক উত্তরও পাওয়া যায়, যা, বলা বাহুল্য, নাইটের নিজস্ব মতামত, কিন্তু তারপরও বলা যায় অনেকগুলো ইন্টেরেস্টিং প্রশ্ন ...

বিকালবেলার পাখিঃ জীবনের ফ্রেম,মধ্যবিত্ত রং

Image
বাংলাদেশে টেলিফিল্ম ক্যাটেগরিটা অনেকটাই নতুন - তাই আমার দেখা বেশিরভাগ টেলিফিল্মগুলো গল্পপ্রধান এবং ফরম্যাটগুলো নাটকের কাছাকাছি। শুধুমাত্র ছোটপর্দার জন্য টার্গেটঃ তাই টেলিফিল্ম স্পেসিফিক্যালি সিনেমা এক্সপিরিয়েন্স হবেনা এটাই স্বাভাবিক। তার মধ্যে কিছু কিছু টেলিফিল্ম এর বিষয় আর আর্ট ডিরেকশন সিনেমার অনেকটা কাছাকাছি নিয়ে যায়। রাইটার-ডিরেক্টর আদনান আর রাজীবের নির্দেশনা আর কামরুল হাসান খসরুর ফটোগ্রাফিতে বিকাল বেলার পাখি   (২০১৭) টেলিফিল্মটি, এরকমই, নাটকের চেয়ে সিনেমার একটু কাছাকাছি।  ইদানিং টেলিফিল্ম বিষয়টা অনেক জনপ্রিয়। বিশেষ করে মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর নাটক, সিনেমা ও টেলিফিল্মের সাবলীলতার ইনফ্লুয়েন্স বর্তমান টেলিফিল্মগুলোর উপর বেশ চোখে পড়ে। বিকাল বেলার পাখি  তার ব্যতিক্রম না হলেও এর নিজস্ব একটা স্বকীয়তা আছে, যা অনেকটাই সিনেমাটিক। বিশেষত এর কালার স্কিম ও ফ্রেমিং-এ। যা দিয়ে রাজীব বেশ সফল্ভাবে তুলে ধরেছেন টেলিফিল্মটির প্রধান বিষয়ঃ মধ্যবিত্ত জীবন।  সিনেমাটির ওপেনিং সীনেই দেখা যায় একটি মাছের বাজারের দৃশ্য; এবং চোখে পড়ে বাবা ও ছেলের একসাথে বাজার করার দৃশ্য। ম...